﷽
ঋণ :
প্রকৃত পক্ষে ঋণ বা ধার হল কোনো জিনিস বা টাকা পয়সা কারোর থেকে কিছূ দিনের জন্যে নেওয়া এবং তা কিছু দিনের পরে আবার তাকে ফিরিয়ে দেওয়া ।
ঋণ :
প্রকৃত পক্ষে ঋণ বা ধার হল কোনো জিনিস বা টাকা পয়সা কারোর থেকে কিছূ দিনের জন্যে নেওয়া এবং তা কিছু দিনের পরে আবার তাকে ফিরিয়ে দেওয়া ।
তো এখন আমাদের মধ্যে প্রচুর সমস্যা হয় এই ঋণের ব্যাপারে ,সেটা হতে পারে সময়ের ব্যাবধান বা কত পরিমান বা কি কি ইত্যাদি ,কিন্তু কখনো এটাও হয় যে ঋণ গ্রহীতা ভুলে যায় সে সেটা তাকে ফিরত দিয়েছে কি না ,আবার এটাও হয় যে ঋণ গ্রহীতা বলে পরিমান তা এত এবং ঋণ দ্বাতা বলেন না এত, না বেশি বা কম , এই সমস্ত কিছূ নিয়ে আমাদের মধ্যে নানা বিধি কারণে আমরা ঝাগড়া করে থাকি । অতঃএব এই সমস্ত ঝামেলা ঝঞ্ঝাটের থেকে মুক্তি পবার জন্য আমাদেরকে সেই মহান রব্বুল আলামিন পবিত্র কোরানের মধ্যে স্পষ্ট জানিয়েছেন ।
সুতরাং এই ঋণ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরানের মধ্যে তা বিভিন্ন ভাবে বলিয়া দিয়া ছেন তার প্রিয় হাবিব [মুহাম্মদ (সাঃ )] এর মাধ্যমে , সূরা আল বাকারা এবং সূরা আল নিসা এ ঋণ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ।
১. হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও ।
২. এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া।
৩. এবং ঋন গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে
৪. এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে।
৫. অতঃপর ঋণগ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা দূর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে।
৬.দুজন সাক্ষী কর,
তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়।
৭. তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা,
তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহর কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত।
৮. কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরস্পর হাতে হাতে আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই।
৯. তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ।
কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে পাপের বিষয়। আল্লাহকে ভয় কর তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন।
- (সূরা আল বাবাকরাহ : ২৮২)
১. হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।
২. কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।
৩. আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না।
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।
-(সূরা আল নিসা : ২৯)
আপনি যদি এই পোস্ট টি ইংলিশে পড়তে চান তাহলে এইখানে কিলিক করুন !
https://trmtauhid79.blogspot.com/2019/10/what-quran-says-about-debt.html
https://trmtauhid79.blogspot.com/2019/10/what-quran-says-about-debt.html
১. ঋণ কত দিন এর জন্য করবো ?
২. ঋণ এর লেখক কে হবেন ?
৩. ঋণ এর পরিমান কতটা হলে লিখতে হবে ?
৪. ঋণ এর সাক্ষী কাকে এবং কাদের রাখতে হবে ?
৫. ঋণ এর জন্য কত জন সাক্ষী কে করতে হবে ?
৬. সাক্ষী হিসাবে কি মহিলা রাখা যাবে ?
৭. যদি মহিলা সাক্ষী রাখা হয় তাহলে কত জন কে রাখতে হবে ?