November 14, 2020

এলেমের প্রকার ভেদ

 এলেমের প্রকার ভেদ ফকীহ আবুল লাইস সমরকন্দি ( রাহঃ ) বলেন , যে সব লােক নিন্মােক্ত চারটি উদ্দেশ্য নিয়ে এলেম অর্জন করে ওরা নির্ঘাত জাহান্নামী হবে ।

  ১ ) নিজেকে সবচাইতে প্রভাবশালীরূপে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে যে ব্যক্তি এলেম অর্জন করে । 

 ২ ) যে ব্যক্তি মানুষের মন জয় করার লক্ষ্য নিয়ে এলেম হাসিল করে । 

 ৩ ) যে ব্যক্তি বিতর্কের ক্ষেত্রে প্রাধান্য অর্জনের উদ্দেশ্যে এলেম অর্জন করে ।  

৪ ) যে ব্যক্তি ধন সম্পদ এবং ক্ষমতা লাভের লক্ষ্য সামনে নিয়ে এলেম হাছিল করে ।

 


 ➱ তিনি আরও বলেন

  • এলেমের প্রাথমিক স্তর হচ্ছে বাকসংযম , 
  • দ্বিতীয় স্তর চিন্তা ফিকির করার যােগ্যতা , 
  • তৃতীয় স্তর স্মরণ রাখার যােগ্যতা , 
  • চতুর্থ স্তর হচ্ছে এলেম অনুপাতে আমল করার আগ্রহ এবং পঞ্চম স্তর হচ্ছে এলেম অন্যের নিকট পর্যন্ত পৌঁছানাের আগ্রহ । 

 ➱আলেমগণও সাধারণতঃ তিন ধরনের হয়ে থাকেন ।

  •  প্রথম প্রকার হচ্ছেন , যারা আল্লাহকে ভয় করেন এবং এলেম অনুপাতে আমল করেন । 
  • দ্বিতীয় প্রকার হচ্ছেন যাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় আছে সাধ্যমত আমল করারও চেষ্টা করেন কিন্তু পর্যাপ্ত এলেমের অভাব আছে । 
  • তৃতীয় প্রকার হচ্ছে , যারা জানে অনেক কিন্তু মনের মধ্যে আল্লাহর ভয় কাংক্ষিত পরিমাণে নেই । এই শেষােক্তগণ হচ্ছে আলেম নামের কলঙ্ক ।

November 13, 2020

তিন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত লােক

তিন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত লােক, হাশরের ময়দনে তিন প্রকার লােক সর্বাধিক আক্ষেপ ও ক্ষতির সম্মুখীন হবে, আমার এক বিশিষ্ট বুযুর্গ এর থেকে শুনেছিলাম। এই তিন প্রকার খতিগ্রস্ত লোকের কথা। 

 তিন প্রকার খতিগ্রস্ত লোক ঃ

১ ) ঐসব লােক যারা অনেক জনশক্তি নিজেদের কর্মে নিয়ােজিত করেছিল । শ্রম পেশার সে লােকগুলির মধ্য থেকে অনেকেই স্ব - স্ব কঠিন দায়িত্ব পালন করেও জান্নাতে যাওয়ার মাত আমল করবে এবং হিসাব - কিতাবের স্তর সহজেই পাড়ি দিয়ে জান্নাতের পথে অগ্রসর হবে । অপর দিকে এ ভাগ্যবানদের যে সব নিয়ােগকর্তা অতিরিক্ত কাজের অজুহাত ভুলে ফরয এবাদত ও উপেক্ষা করে জাহান্নামে যাওয়ার উপক্রম হলে , ওদের তখন আক্ষেপের আর কোন সীমা পরিসীমা থাকবে না।

২) সমস্ত ধনী ব্যক্তি যারা সারা জীবন সম্পদ আহরণের মধ্যেই নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছে । হালাল - হারামের প্রতি লক্ষ্য করারও সুযােগ পায় নাই ; সারা জীবন শুধু রােজগারের ধাক্কায় নিমগ্ন রয়েছে । কিছু সম্পদ ব্যয় করে আখেরাতের কোন সঞ্চয় করেনি , এসব লােকের পরিত্যক্ত সম্পদের যারা ওয়ারিশ হয়েছে , তারা হয়ত আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে ব্যয় করে জান্নাতে যাওয়ার যােগ্য বিবেচিত হবে এবং সম্পদ যারা রােজগার করেছিল ওরা জাহান্নামী হবে । ঐ সময় সম্পদ রােজগারকারীরা এমন আক্ষেপে পতিত হবে যে , সেটাও জাহান্নামের আযাবের চাইতে কম কিছু হবে না ! 

৩ ) ঐ সমস্ত বে আমল আলেম ও ওয়ায়েজ যাদের ওয়াযে বা লেমের দ্বারা উপকৃত হয়ে বহু লােক জান্নাতে যাবে এবং পশ্লিষ্ট আলেম ওয়ায়েজগণ বে আমল হওয়ার কারণে জাহান্নামী হবে । তখন এসব আলেমের আক্ষেপ দেখে হাশরে সমবেত সবাই দুঃখ বােধ করবেন ।